প্রতীকী ছবি |
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী,
২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক পণ্যের ওপর
ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে চা-কফির কাপ, প্লেট,
বাটি ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়বে। তবে পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্যের ওপর ভ্যাট মওকুফের
পরিকল্পনা রয়েছে।
ভ্যাট
বৃদ্ধির প্রভাব
- মূল্যবৃদ্ধি:
ভ্যাট দ্বিগুণ হওয়ায় প্লাস্টিক পণ্যের দাম বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ, ১০ ইঞ্চি
মাপের প্লাস্টিকের ১০০টি প্লেটের দাম বর্তমানে ২৫০–৫০০ টাকা। ভ্যাট বাড়লে এই
দাম আরও বাড়বে।
- বিকল্প পণ্যের চাহিদা: কাগজ, গাছের উপকরণ, পোড়ামাটি ইত্যাদি থেকে তৈরি পরিবেশবান্ধব পণ্যের ওপর ভ্যাট মওকুফের ফলে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে। তবে কাগজের প্লেটের দাম প্লাস্টিকের তুলনায় বেশি হওয়ায় এটি একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
শিল্পের
ওপর প্রভাব
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক
ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, প্লাস্টিক পণ্য মূলত ছোট
দোকান ও ফেরিওয়ালাদের মাধ্যমে বিক্রি হয়। ফলে ভ্যাট আদায় সেভাবে বাড়বে না; বরং
শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে প্লাস্টিক পণ্যের বার্ষিক বিক্রি আনুমানিক ৪০ হাজার
কোটি টাকা, যেখানে প্রায় ছয় হাজার উদ্যোক্তা ও ১৫ লাখ মানুষ কাজ করেন।
উপসংহার
ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ওয়ান টাইম
প্লাস্টিক পণ্যের দাম বাড়বে, যা সাধারণ ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব
ফেলবে। তবে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ওপর ভ্যাট মওকুফের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো যায়।
সরকারের উচিত এই পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সচেতনতা
কার্যক্রম গ্রহণ করা, যাতে পরিবেশ সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
Post a Comment