বাংলাদেশ এক ভয়াবহ অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি!

 
ছবিঃ সংগ্রিহীত

৫ ই আগষ্টের তথাকথিত জুলাই ষড়যন্ত্র থেকে আমেরিকা নামক এক চোরাবালিতে আটকে গেছে বাংলাদেশ। দিনের বেলা আমেরিকার কোম্পানির 'কোকাকোলা' বর্জন নাটক করে রাতভর আমেরিকার সাথে বৈঠক মঞ্চস্থ হয়। ১৭.৫ কোটি মানুষকে ‘ভোদাই’ বানানোর এই ফর্মুলার নাম হচ্ছে ইউনুস মেটিকুলাস ডিজাইন।

যেই দেশের মানুষ দুধ কিনে রোজ সকালে ভোদাই হয় সেই দেশের মানুষকে ফেয়ার এন্ড লাভলী ক্রিম ব্যবহারে কাক ফর্সা হয় বলে বোকা বানানো কঠিন কিছু নয়। এই সাদা রং, সাদা চামড়া, জল মেশানো দুধ, ও সাদা ফেয়ার এন্ড লাভলীর প্রতি এই দেশের মানুষের দূর্বলতা দীর্ঘদিনের। এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সাদা চামড়ার মানুষ দেখিয়ে এই দেশের মানুষকে খুব সহজেই বোকা বানানোর পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ‘ইউসুফ জাই’ এর পাপেট সরকার।

১৭ ই এপ্রিল ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অব মার্কিন স্টেট নিকোল এ চুলিক ও অ্যান্ড্রু হেরুপ এর নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে। এর আগে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল সামরিক কর্মকর্তা, যার নেতৃত্বে ছিলেন আমেরিকান আর্মির প্যাসিফিক - এর ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার লেঃ জেনারেল জোয়েল বি. ভাওয়েল। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল আরাকান আর্মির জন্য মানবিক/সামরিক করিডোর।

বানরকে যেমন কলার লোভ দেখিয়ে বশে আনা হয় ঠিক তেমনি বাঙালির মুখে টোপ ফেলা হলো ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন। বাঙালি কি একবারও ভেবেছে, এই ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা কোথায় পাঠাবে? কিভাবে পাঠাবে এবং আদৌ কি তা সম্ভব? চীন, মায়ানমারের জুন্টা সরকার, আরাকান আর্মি এই তিন শক্তির স্বদিচ্ছা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কোনভাবেই সম্ভব নয়। এখনো মিয়ানমারের তিনটি গুরুত্বপুর্ন শহর আরাকান আর্মি দখল করতে পারেনি। আরাকান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা হয়নি এখনও। আরাকান আর্মি ও রাখাইনকে স্বাধীন ঘোষণা করে এখনও পৃথিবীর কোন দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। তার আগে এমন একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে চিরস্থায়ী হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ ভূখণ্ড নিয়ে আমেরিকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান যার যার অবস্থান থেকে। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ভূখণ্ড কাউকে ছেড়ে দিবেন না। রক্ত ঝরে ঝরুক, রাখাইন করিডোর হতে দিবো না।"

আরাকান আর্মির দৃষ্টিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA ) হচ্ছে একটি "ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন।" আরাকান আর্মি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য অনেকটা 'শখের করাত'। আরাকান আর্মির মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের যে দিবাস্বপ্ন বাংলাদেশের মানুষকে দেখানো হচ্ছে তা মূলত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমেরিকার ঘাঁটি তৈরি করার প্রচেষ্টার অংশ মাত্র। অল্প সময়ে মার্কিন ডিপ স্টেট এর একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফর কখনোই বাংলাদেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। আরাকান আর্মি কখনোই রোহিঙ্গাদের স্বীকার করে না। অল্প কিছুদিন আগেও আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি স্বশস্ত্র যুদ্ধ হয়েছে মিয়ানমারে। তাহলে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গাদের ঘিরে বাংলাদেশে এসব নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে কেন?

এখনো প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গারা ভিটেমাটি ছেড়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এপারে চলে আসছে আশ্রয়ের খোঁজে। বাংলাদেশের মিডিয়ায় খবর অনুযায়ী, নতুন করে আরও দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকেছে। ২০০৯ সালে আরাকান আর্মি সৃষ্টি করে বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের জন্ম দিয়েছিলো আমেরিকা। এক্ষেত্রে সাপ ও ওঝা দুটোই এখন আমেরিকা। এর ভেতরে যে হিডেন ট্রুথ লুকিয়ে আছে তা কখনো ভেবেছেন?

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথে কালো কোট পরা ব্যাক্তিটি হচ্ছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তাকে ৯ এপ্রিল নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে আমেরিকান কর্মকর্তাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। মার্কিন ডিপ স্টেট এর নজর পৃথিবীর যেসব দেশের উপর পড়ে সেখানেই তারা নিজেদের বিশ্বস্ত গুপ্তচর তৈরি করে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে একটি বিশাল অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠানো হয় এমন মানুষকে। এদের দিয়ে ধীরে ধীরে একটি রাষ্ট্রকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিশেষ ফায়দার জন্য সেই দেশের বিভিন্ন আমলা বুদ্ধিজীবী ও প্রশাসনিক সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অতি লোভে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যান। এসব খেলায় মার্কিন ডিপ স্টেট যে বিশেষ ধরণের গুপ্তচর ব্যবহার করে তারা আমেরিকার সাথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কর্মকণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকেন। আমেরিকা ও জাতিসংঘের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ২০০১ সালে প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানের একান্ত সচিবের হঠাৎ এই নাটকীয় পরিবর্তন পুরো দেশবাসীকে নতুন এক গভীর সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।



১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্কে সর্বপ্রথম অ্যাক্টিভ হয় মার্কিন ডিপ স্টেট। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মার্কিন ডিপ স্টেট এর একমাত্র উপস্থিতি হচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। জুলাই আগষ্টের পর মার্কিন ডিপ স্টেট পুরোপুরি সক্রিয় হয়েছে বাংলাদেশে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য একটি অশনি সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়। মার্কিন ডিপ স্টেট পৃথিবীর যেই দেশে কাজ করে সেই দেশের সেনাবাহিনী তাদের খেলার পুতুল হয়ে যায়। তারা সেখানে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে পুতুল সরকার বসায়। ডোনাল্ড লু দিয়ে পাকিস্তানের জনপ্রিয় শাসক ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা আমেরিকার ডিপ স্টেট পরিকল্পনার একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ধীরে ধীরে এরা পাকিস্তানি আইএসআইকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে একটি দীর্ঘমেয়াদি জ-ঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবে। এর জন্য বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী সহ বাংলাদেশের ৪০ টি জ-ঙ্গী সংগঠনের জন্য এরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। সেই সাথে এরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চিরস্থায়ী ভাবে ধ্বংস করে দিবে, যাতে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ কখনোই যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। ঠিক তখনই ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান এর মতো করে বাংলাদেশ দখল নিবে। এই দখল নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ছোট ছোট ডিপ স্টেট তৈরি করবে।

ভয়াবহ এক ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। তথাকথিত রাখাইন করিডোরের নামে আমেরিকার ডিপ স্টেট ও বাংলাদেশের পাপেট সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দীর্ঘমেয়াদি এক গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাখাইন করিডোরের নামে বাংলাদেশ ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। আমেরিকান গুপ্তচরদের এই ধ্বংসলীলা এখনি রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই পোস্ট করুন। সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিন -

"𝐒𝐚𝐲 𝐧𝐨 𝐭𝐨 𝐑𝐚𝐤𝐡𝐚𝐢𝐧𝐞 𝐂𝐨𝐫𝐫𝐢𝐝𝐨𝐫"

স্লোগান তুলো বাংলাদেশ - " চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঁচাও, বাংলাদেশ বাঁচাও।"

সত্য সবসময় সুন্দর।


লেখাঃ লুসিড ড্রিম (শুভ)

২৮ এপ্রিল ২০২৫


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url