আর্থিক খাতের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ

 
প্রতীকী ছবি


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু সম্প্রতি দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতি ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের আর্থিক খাত 'অত্যন্ত খারাপ' অবস্থায় পৌঁছেছে,- যদিও তিনি গত দশ মাসে আর্থিক খাত সহ নানা খাতে চরম নৈরাজ্যের কথা স্পষ্ট করে বলেননি।

 

আর্থিক খাতের সংকটের মূল কারণসমূহ

  1. ব্যাংক পরিচালনায় রাজনৈতিক প্রভাব ও লুটপাট: মিন্টু অভিযোগ করেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও সহায়তায় লুটপাটে জড়িত হয়েছে, যা আর্থিক খাতকে দুর্বল করেছে
  2. বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা: তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কার্যত 'আইসিইউতে' রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য মারাত্মক সংকেত।
  3. ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা: ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছেন, ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

 

মিন্টুর মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা

আবদুল আউয়াল মিন্টুর এই মন্তব্য দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। তিনি বলেন, "একটি হলো ব্যাংকের নিজস্ব অনিয়ম, নিজস্ব দুর্নীতি; আরেকটি হলো সাধারণ নিয়মে অর্থনীতির সমস্যা। সে সমস্যার কারণে যে ঋণ নিয়েছে, সে এখন ঋণটা পরিশোধ করতে পারছে না। এই সবগুলোর সমন্বয়ে আসলেই কিন্তু বাংলাদেশের আর্থিক খাত অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে।“

 

পর্যালোচনা ও সুপারিশ

মিন্টুর বক্তব্যে দেশের আর্থিক খাতের সংকটের গভীরতা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন:

  • ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
  • রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
  • বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি
  • খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
  • দেশে একটি নির্বাচিত জণপ্রতির দ্বারা গঠিত জবাবদীহিতামূলক ও সরকার প্রতিষ্ঠা।

এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতকে সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

 

আরও জানতে ভিডিওটি দেখুন:

ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ: মিন্টু YouTube

 

সূত্রসমূহঃ

Jagonews24+7bd-pratidin.com+7BDNews24+7BDNews24+3kalerkantho.com+3bd-pratidin.com+3


Post a Comment

Previous Post Next Post