ছবিঃ সংগৃহীত |
আমরা প্রায়ই শুনি- “ভদ্র ছেলে এসব
করে না” কিংবা “ভদ্র
মেয়েরা এসব বলে না।”
ছোটবেলা থেকে আমাদের শেখানো
হয়, ঝগড়া না করতে,
উচ্চস্বরে কথা না বলতে,
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্তেজিত
হয়ে না পড়তে। কিন্তু
প্রশ্ন হচ্ছে- ভদ্রতা কি শুধুই নীরবতা?
আমাদের
সমাজে ‘ভদ্র’ পরিচয়ের মানদণ্ড অনেক সময়েই খুব
সরলীকৃত। যে চুপ থাকে,
ঝামেলায় যায় না, তাকে
‘ভদ্র’ বলা হয়। কিন্তু
সেই মানুষটি যদি অন্যায়ের সামনে
নীরব থাকে, প্রতিবাদ না করে পাশ
কাটিয়ে যায়—তাহলে সে
কি সত্যিই ভদ্র, নাকি কেবল সুবিধাবাদী?
ভদ্রতা
মানে শিষ্টাচার, সৌজন্য, শ্রদ্ধাবোধ—এ কথা ঠিক।
কিন্তু তার মানে এই
নয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়ানো অশোভন। বরং সত্যের পাশে
দাঁড়িয়ে, সংযত ভাষায়, যুক্তি
দিয়ে কথা বলাটাও এক
ধরনের ভদ্রতা।
আজকের
পৃথিবীতে, যেখানে প্রতিদিন নানা রকম বৈষম্য,
সহিংসতা আর অন্যায় ঘটছে,
সেখানে চুপ থাকা অনেক
সময় অপরাধের সমান। আমাদের দরকার এমন ‘ভদ্র’ মানুষ,
যারা নির্ভীকভাবে সৎ কথাটা বলবে—আক্রমণ না করে, অপমান
না করে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে।
ভদ্রতা মানে যেন ‘নির্বাকতা’
না হয়। সত্যকে সম্মান
করে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, সৌজন্য বজায়
রেখে মত প্রকাশ করাও
ভদ্রতারই অংশ।
Post a Comment