টেক্সাসে শরিয়া আইন বাতিল প্রসঙ্গে

প্রতীকী ছবি


সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, "টেক্সাস একটি বিল পাস করেছে যা ইসলামিক শরিয়া আইন এবং আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থী যেকোনো কিছু নিষিদ্ধ করে।"  তবে এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। 


২০১৭ সালের আইন: বিদেশি আইন নিষিদ্ধকরণ


২০১৭ সালে টেক্সাসে হাউস বিল ৪৫ (House Bill 45) পাস হয়, যা "American Laws for American Courts" নামে পরিচিত।  এই আইন অনুযায়ী, টেক্সাসের আদালতগুলোতে বিদেশি আইন, যার মধ্যে শরিয়া আইনও অন্তর্ভুক্ত, প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে পারিবারিক আইন সংক্রান্ত মামলায়  । তবে এই আইনটি শুধুমাত্র আদালতের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য এবং ব্যক্তিগত ধর্মীয় অনুশীলন বা বিশ্বাসের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। 


সাম্প্রতিক পরিস্থিতি: EPIC সিটির বিতর্ক


২০২৫ সালে, টেক্সাসের জোসেফিন শহরে East Plano Islamic Center (EPIC) একটি মুসলিম-নির্ভর সম্প্রদায় গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে, যার নাম "EPIC City"।  এই প্রকল্পে মসজিদ, স্কুল, আবাসিক এলাকা এবং অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে  । তবে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন তদন্ত শুরু করেন, যার মধ্যে ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগও রয়েছে  ।


সঠিক খবর


বর্তমানে টেক্সাসে শরিয়া আইন নিষিদ্ধ করার নতুন কোনো আইন পাস হয়নি।  ২০১৭ সালের আইনটি এখনও কার্যকর রয়েছে, যা শুধুমাত্র আদালতের প্রেক্ষাপটে বিদেশি আইন প্রয়োগ নিষিদ্ধ করে।  সাম্প্রতিক বিতর্কগুলি মূলত নির্দিষ্ট একটি মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এবং এর সঙ্গে শরিয়া আইন নিষিদ্ধ করার নতুন কোনো আইন জড়িত নয়। 


তাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত "টেক্সাস শরিয়া আইন নিষিদ্ধ করেছে" এই ধরনের দাবিগুলি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। 


#Thewashingtonpost


Post a Comment

Previous Post Next Post