Advertise

রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা আসলে কাকে বলে?

 

প্রতীকী ছবি

রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়—কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যমের এমন এক অবস্থান যেখানে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে ন্যায়, যুক্তি ও তথ্যভিত্তিক আচরণ করে এবং সব পক্ষের মতামতকে সম্মান জানায়

এটির মানে এই নয় যে নিরপেক্ষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত দেবে না বা ন্যায়ের বিপক্ষে চুপ থাকবে। বরং:

রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা মানে হলো:

·       ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকা, যেটাই হোক না কেন—সরকার, বিরোধী দল বা অন্য কেউ।

·       দলান্ধতা এড়িয়ে চলা, অর্থাৎ অন্ধভাবে কোনো দলকে সমর্থন বা বিরোধিতা না করা।

·       তথ্যভিত্তিক সমালোচনা ও বিশ্লেষণ করা—অর্থাৎ সমালোচনা করলেই কারো ‘দুশমন’ হয়ে যাওয়া নয়।

·       জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ নয়।

রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এটাও নয়:

  • কোনো মতামত না থাকা বা নির্লিপ্ত থাকা।
  • অন্যায় দেখেও চুপ থাকা।
  • “সব দলই খারাপ” বলে দায়িত্ব এড়ানো।

উদাহরণ:

·       একজন সাংবাদিক যদি সরকারের ভালো কাজকে প্রশংসা করেন এবং একইভাবে অন্যায় বা দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন, সেটিই রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার বাস্তব চর্চা।

·       একজন নাগরিক যদি ভোট দেয়ার সময় দল নয়, প্রার্থী ও দলের নীতির ভিত্তিতে ভোট দেন—তাহলে তিনিও রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও নিরপেক্ষ।

রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা মানে পক্ষহীন নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষ হওয়া। এটি হলো বিবেকবান, গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল আচরণ—যেখানে দল নয়, দেশের স্বার্থই হয় মুখ্য।

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url