![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
চট্টগ্রামের
মেয়ে দেবযানী ঘোষ (Debjani Ghosh) ছিলেন জার্মানি‑ভিত্তিক HY‑4
প্রকল্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ গবেষক। বিশ্বে প্রথম চার-আসন বিশিষ্ট
কার্বন-নির্গমনহীন বিমান তৈরি ও সফলভাবে উড়ানোর ক্যাটালিস্ট হিসেবে বিবেচিত হন
তিনি।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
জন্মঃ ১৯৮৮ সালের ৩০ অক্টোবর, চট্টগ্রামে
পড়োশুনাঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক। তারপর জার্মানির RWTH Aachen University থেকে MSc ও University of Ulm-এ পিএইচডি গবেষণার্থী।
পেশাঃ জার্মানির University of Ulm-এ পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে সহকারী লেকচারার ও HY‑4 গবেষণা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
HY‑4 প্রকল্প ও বৈদ্যুতিক বিমান
HY‑4 হলো স্টুটগার্ট বিমানবন্দরে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে প্রথম উড়ান দেয়া বিশ্বের প্রথম চার-আসন বিশিষ্ট হাইব্রিড বৈদ্যুতিক_passenger_plane, যা শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ইন্ধন ও ব্যাটারির মাধ্যমে চালিত হয় এবং কার্বন নিঃসরণ করে না।
দেবযানী এই প্রকল্পে পাওয়ার ইলেকট্রনিকস সিস্টেম ডিজাইন ও ব্যবস্থাপনায় কাজ করেন। তিনি যান, ইউনিভার্সিটি অব উলম এবং জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের (DLR) সহযোগিতায় ফুয়েল সেল ও ব্যাটারি থেকে উৎপন্ন DC বিদ্যুৎকে নির্ভরযোগ্য AC শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য সিলিকন কার্বাইড ভিত্তিক আর্কিটেকচার ডিজাইন করেন, যা ভর লঘু ও কার্যক্ষমতা ধরে রাখে।
তার কাঠামোগত আর্কিটেকচার শক্তি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ইনটারফেস তৈরি করে যা ব্যাটারির চার্জিং-ডিসচার্জিং অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানিয়ে নিতে সক্ষম।
গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ মহাপ্রভাব
HY‑4 প্রকল্পে দেবযানীর অংশগ্রহণের ফলে তিনি বিশ্বের বেসামরিক বিমানচালনায় শূন্য কার্বন নির্গমন বিরোধী প্রথম টেকসই বিমান উদ্ভাবনের একটি অঙ্গ হয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় বাণিজ্যিক বিমান উৎপাদনে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ তথা পরিবেশবান্ধব বিমান চলাচলকে আরও বিস্তৃত করতে চান।তিনি বাংলাদেশি মেয়ে ও তরুণ বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করতে চান। “ইচ্ছা থাকলে উপায় পাওয়া যায়”—এমন মনোভাব নিয়ে নিজের কর্মপথ এগিয়ে চলেছেন।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ:
বিষয় |
বিবরণ |
নাম ও যোগ্যতাঃ |
দেবযানী ঘোষ, সাহসী বাংলাদেশি গবেষক ও শক্তি-প্রযুক্তি
বিশেষজ্ঞ। |
প্রকল্পঃ |
HY‑4 — চার-সিট হাইব্রিড বৈদ্যুতিক বিমান। |
দায়িত্বঃ |
পাওয়ার ইলেকট্রনিকস আর্কিটেকচার ডিজাইন ও শক্তি নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থাপনা। |
গৌরবঃ |
পৃথিবীর প্রথম শূন্য-নির্গমন বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমান উদ্ভাবক দক্ষি-পশ্চিম এশিয়া থেকে একমাত্র মহিলা সদস্য। |
ভবিষ্যৎ লক্ষ্যঃ |
বড়‑প্যাসেঞ্জার বিমানেও এই টেকনোলজি প্রয়োগ এবং পরিবেশমুক্ত
আবহাওয়া বজায় রাখা। |
দেবযানী ঘোষ বৈদ্যুতিক বিমান প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের গর্ব,
যিনি অকল্পনীয় উচ্চতায় পৌঁছেছেন! এই প্রজন্মের আরও নারী উদ্ভাবকদের অনুপ্রাণিত
করার জন্য তার গল্প সত্যিই অনন্য।
Sources
Instagram+Facebook+Wikipedia+3Prothomalo+3
Post a Comment