![]() |
ছবি(ক্যাপশন বাদে): দৈনিক আমাদের সময় থেকে |
পাকিস্তানে প্রায় ৩.৮ কোটি (৩৮ মিলিয়ন) মানুষ ভিক্ষুক পেশায় জড়িত
আছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। এরা কোথায়, কতজন কোন প্রক্রিয়া
অবলম্বন করে ভিক্ষা করেন তার একটি পর্যালোচনা।
ভিক্ষুকদের গড় দৈনিক আয় শহরভিত্তিকভাবে ভিন্ন:
- কারাচিতে ~ ২০০০ রুপী
- লাহোরে ~ ১৪০০ রুপী
- ইসলামাবাদে ~ ইসলামাবাদে ৯৫০ রুপী
জাতীয় গড় ~ ৮৫০ রুপী।
বার্ষিক উপার্জন কত এবং অর্থনৈতিক প্রভাব কী?
কম করে বললে, দেশব্যাপী ও দেশের বাইরে থেকে ভিক্ষুকরা প্রতিদিন ৩২
বিলিয়ন রুপী দান নিয়ে থাকেন; যা বছরে ১১৭ ট্রিলিয়ন রুপী, অর্থাৎ ডলার হিসেবে ৪২
বিলিয়ন।
এই আয় পাকিস্তানের মোট জিডিপির প্রায় ১২% বা তারও বেশি ।
ভিক্ষার বিশেষ বিশেষ স্থান ও স্থান নিয়ে সহিংসতা
শহরের জনপ্রিয় “প্রলোভিত” জায়গার জন্য ভিক্ষুকদের মধ্যে তর্ক-যুদ্ধ
ও সহিংসতা লেগেই আছে।
এক ঘটনায়, ফইসালাবাদের একটি পুলিশ স্টেশনের সামনে ভিক্ষুকরা ইট-পাথর
বর্ষণ করে এবং অভিযোগ দায়েরও করে।
বিদেশে ভিক্ষা: ডিপোর্টেশন ও ‘নো-ফ্লাই’ তালিকাভুক্তি
অবৈধভাবে বিদেশে ভিক্ষুক পাঠানোর জন্য পাকিস্তানকে ‘beggar mafia’
টার্গেট করে ৪৩০০ জন ভিক্ষুককে Exit Control List (ECL) বা No-Fly List-এ
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ২০১৪–২০২৫ সময়ের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ৫০০০ এর অধিক ভিক্ষুককে
বিভিন্ন সময় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তন্মধ্যে ৪৭০০ জনই সৌদি থেকে, বাকিরা ইরাক, ইউএই,
কাতার ও মালয়েশিয়া থেকে ফেরত গিয়েছেন ।
সারসংক্ষেপ হিসাব:
- ভিক্ষুক সংখ্যা ≈ ৩.৮ কোটি
- গড় দৈনিক আয় Rs 850 (কারাচি: Rs 2,000; লাহোর: Rs
1,400; ইসলামাবাদ: Rs 950)
- বার্ষিক আয় (সমষ্টিগত) ≈ $42 বিলিয়ন (~ Rs 117 ট্রিলিয়ন)
- অর্থনৈতিক প্রভাব GDP-এর ~১২%
সরকারের প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা
রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, “begging
mafia”-র বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে এবং বিদেশে এগুলো রপ্তানির অবসান ঘটানো হবে ।
পাকিস্তানের নামকরা ইংরেজি পত্রিকা 'দ্যা ডন' এর সম্পাদকীয়তে বলা
হয়েছে, শুধু উপশম নয়; দারিদ্র্য, ব্যাহত কর্মসংস্থান ও সামাজিক অবহেলার
কারণগুলোকে সমাধান করতে হবে। এর জন্য পাচারকারী নেটওয়ার্ক–এর বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা, দক্ষতা উন্নয়ন, ক্ষুদ্রঋণ (microfinance এবং সমাজ সচেতনতা কর্মসূচি
দরকার।
(২) দৈনিক আমাদের সময়
Post a Comment