পড়া শেখানোর অভিনব কৌশল!

 

ছবিঃ ভিডিও থেকে

“মাছ ধরা নৌকার মতোই দেখা যায়...

তার নাম "বা"

 

এক মহিলা শিক্ষক তার ক্লাশে উপরোক্ত কথাগুলো সুর করে আরবী পড়া শেখাচ্ছেন (লেখার শেষে ভিডিও)। ধারণাটা চমৎকার! অনেকেই অনেক রকম ভাবে শারীরিক কসরত করে পড়া মুখস্থ করে। কাউকে দেখি টেলিফোনে কথা বলার সময় হাত-পা, শরীর ঝাঁকিয়ে অপরপ্রান্তের লোকের সাথে ঝগড়া করছেন কিংবা স্বাভাবিক কথাই বলছেন। দেখে মনে হবে তিনি টেলিফোনের মাধ্যমে কথার সাথে অঙ্গভঙ্গিও পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

 

পড়ানোর বা পড়া মুখস্ত করানোর কত অভিনব পদ্ধতিই না আছে!

ছোটবেলায় মানিকগঞ্জের চর থেকে আমাদের এলাকায় গিয়ে বসতি গড়া একজনকে দেখেছিলাম, তার ছেলেকে পড়াচ্ছে, সরাইও(অ), সরাইয়া(আ)। অবাক লেগেছিল।

 

এই মহিলার পড়ানোর সিস্টেমটা খারাপ না। সুর করে পড়ালে মনেও থাকে। কিন্তু একটু খটকা লাগলো। উনি শুধু "বা" কে ‘নৌকার মতো দেখা যায়’ বললেন। পরের দুই অক্ষরও তো একই রকম। শুধু উপরে বিন্দু বা নুকতা দিয়ে আলাদা বোঝানো। “বা”-এর নুকতা যদিও নিচে। যাইহক, তো ওই দুই অক্ষর পড়ানোর সময় কি বলবেন?

 

আমার মাথায় একটা ধারণা এলো। সম্ভাব্য তিনি যা বলতে পারেন:

 

১. মাছ ধরা- নৌকার মধ্যে- দুইজন মাল্লা দেখা যায়... তার নাম "তা"

২. তিনজন মাল্লা- নৌকা নিয়ে- সাগরে মাছ ধরতে যায়... তার নাম "তা"

 

এমন হতেও পারে, আবার নাও পারে। ওনার মাথায় কি আছে উনিই জানেন। পরবর্তী অক্ষরগুলো কোন বাক্য সহযোগে পড়ান তা দেখার ইচ্ছে জাগছে।


ভিডিওটি দেখুন

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url