AI কনটেন্টে রাজনীতি: মিথ্যা প্রচারের নতুন অস্ত্র!
প্রতীকী ছবি |
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বদলে দিচ্ছে রাজনীতি—তথ্য তৈরি, প্রচার ও গ্রহণের
ধরন। তবে এই পরিবর্তন সবসময় ইতিবাচক নয়। বিপুল সংখ্যক ভুয়া তথ্য, এডিট করা ছবি,
ভিডিও ও গঠিত বক্তব্য আজকাল মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া
যাচ্ছে। এ যেন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য মুছে ফেলার এক নতুন অস্ত্র।
AI কনটেন্ট কিভাবে রাজনীতিতে ব্যবহৃত
হচ্ছে
১। Deepfake ভিডিও ও অডিও
- রাজনৈতিক
নেতাদের মুখে বিকৃত/বানোয়াট বক্তব্য বসিয়ে তৈরি করা হয় বিভ্রান্তিকর ভিডিও।
- নির্বাচন-পূর্ব
সময় এই ধরনের কনটেন্ট ভোটারদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে।
২। Automated Fake News Generation
- ChatGPT-এর মতো
জেনারেটিভ AI দিয়ে নিখুঁত ভাষায় ফেক সংবাদ বা গুজব লেখা যায়।
- Social Media
Bots এদের ছড়িয়ে দেয় দ্রুত গতিতে।
৩। Targeted Propaganda
- AI-অভিজ্ঞান
ব্যবহার করে ভোটারদের আগ্রহ, ভয় ও চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ করে তাদের
জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়।
বিপদের মাত্রা কতটা?
- গণতন্ত্রের জন্য
হুমকি: মানুষ যদি বুঝতেই না পারে কোন তথ্য সত্য আর কোনটি মিথ্যা, তাহলে তাদের
সিদ্ধান্তও বিভ্রান্ত হবে।
- সহিংসতার উৎস: মিথ্যা প্রচারে
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব—এসব থেকে দাঙ্গা পর্যন্ত হতে পারে।
- নির্বাচন
প্রভাবিত করার হাতিয়ার: AI এখন বিদেশি হস্তক্ষেপের নতুন রাস্তা। এক দেশ
অন্য দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে টার্গেটেড কনটেন্টের মাধ্যমে।
কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
মিডিয়া লিটারেসি বাড়ানো
- জনগণকে শেখাতে
হবে—"যা দেখি তা সব সত্য নয়"।
- ভুয়া তথ্য চেনার
কৌশল স্কুল-পাঠ্যক্রমেও আনা যেতে পারে।
কনটেন্ট ভেরিফিকেশন টুল ব্যবহার
- যেমন: Google
Reverse Image Search, InVID, বা AI Content Detectors।
আইন ও নিয়ন্ত্রণ
- ভুয়া AI কনটেন্ট
তৈরি ও ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ।
- রাজনৈতিক
দলগুলোর কাছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দাবি করা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে এখনো deepfake-এর ব্যাপক বিস্তার না হলেও Photoshop ও Voice
Cloning টুল দিয়ে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর ঘটনা বাড়ছে। ফেসবুক ও ইউটিউব
ভিত্তিক রাজনৈতিক চ্যানেলগুলোতে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় AI কনটেন্টের
মাধ্যমে।
------
AI হলো একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। একে ব্যবহার করা যায় সচেতনতা গড়তে
কিংবা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে। তাই AI কে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই আসল
প্রশ্ন। প্রযুক্তি অপরাধী নয়, কিন্তু যারা এটি ভুল পথে ব্যবহার করে, তাদের
রুখতে হলে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং রাষ্ট্রকে জবাবদিহিমূলক।
#Politics,#Social_Media,#ZenZ,#বাংলাদেশ,#রাজনীতি,