সৈয়দ আদিল হুসেন |
সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ। পেশায় টাট্টু ঘোড়ার চালক। ঘোড়ায় চড়িয়ে পর্যটকদের বৈসরণে নিয়ে আসাই তাঁর কাজ। না পালিয়ে পর্যটকদের রক্ষা করতে জঙ্গির হাত থেকে কেড়ে নিতে গিয়েছিলো রাইফেল। নিমেষে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলো কাশ্মীরি যুবক সৈয়দ আদিল হুসেনের দেহ। কোনো ধর্ম পরিচয় খুঁজতে যাননি তিনি।
নিজের ধর্ম পরিচয় দিয়েও কি পারতেন অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে। তবুও একশ্রেণির ধর্মবাজরা তাইই করতেন। কিন্তু সৈয়দ আদিল হুসেন তা করেননি। তিনি পর্যটকদের জীবন বাঁচাতে তেড়ে যান জঙ্গীদের দিকে। রাইফেল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলশ্রুতিতে নিহত হন। সৈয়দ আদিল হুসেনের মতন মানুষদেরকেই বলা হয় ধর্মনিরপেক্ষ। যাদের কাছে ধর্ম পরিচয়ের চেয়ে বড় হলো মনুষ্যত্ব। ধর্মও মনুষত্যের কথাই বলে। কিন্তু আমরা উলটা ব্যাখ্যা করি।
ধর্মবিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত যাপন। সেই যাপনের অনুষঙ্গে যারা বিদ্বেষ পালন করেন না সেটাই ধর্মের নির্দেশনা। ঠিক এই কারণেই ধর্মনিরপেক্ষরা ধর্মান্ধদের শত্রু। সব রঙয়ের ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছেই ধর্মনিরপেক্ষরা শত্রু। যে শ্রেণীটিকে দেখবেন অপরাধীকে বাঁচাতে অন্য ধর্ম, রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উপরে দায় চাপাচ্ছে, বুঝে নেবেন তারাই মূলত ধর্মীয় উগ্রবাদী।
Post a Comment