![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
ভ্লাদিমির পুতিন: মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কূটনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আজকের বিশ্বরাজনীতির অন্যতম অভিজ্ঞ নেতা বলা যায়। ২০০০ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচজন প্রেসিডেন্ট—ক্লিনটন, বুশ, ওবামা, ট্রাম্প ও বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি কূটনৈতিক মঞ্চে লড়েছেন। এই দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আলাস্কার বৈঠক: স্পষ্ট বিজয়ী পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলাস্কার বৈঠকে পুতিন ছিলেন “স্পষ্ট বিজয়ী”। তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর ট্রাম্পের অর্জন ছিল কেবল ভবিষ্যতে আরেকটি বৈঠকের প্রতিশ্রুতি, অথচ পুতিন সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে বাস্তব অগ্রগতি করেন এবং সিরিয়া কিংবা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠিন চাপও এড়াতে সক্ষম হন।
ধারাবাহিক কৌশল
২০০১ সালে স্লোভেনিয়ায় জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠক থেকেই অস্ত্র বিস্তার, ন্যাটো সম্প্রসারণ ও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এরপর প্রতিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই তিনি দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করেছেন।
সমালোচনার দিক
পুতিনের কূটনৈতিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচনার জায়গাও কম নয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উপেক্ষা, কঠোর শাসনব্যবস্থা এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কৌশল রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।
তবে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও তার নিজ দেশে তেমন সমালোচনার কথা শোনা যায় না।ভবিষ্যতই নির্ধারণ করবে তিনি কতটা সফল রাষ্ট্রনেতা।
উপসংহার
আলাস্কার বৈঠক কিংবা স্লোভেনিয়ার সাক্ষাৎ—সব ক্ষেত্রেই ভ্লাদিমির পুতিন প্রমাণ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কূটনৈতিক খেলায় তিনি এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। অভিজ্ঞতা, কৌশল ও দৃঢ়তায় তিনি আজও বিশ্বমঞ্চে এক ‘লোহমানব’।
Post a Comment