কাশ্মীরের প্যাহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা ট্রাম্পের: মোদিকে ফোন
![]() |
US President Donald Trump & India PM Narendra Modi. Photo Courtesy: আনন্দবাজার |
জম্মু ও কাশ্মীরের প্যাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব এলার্ট। হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকার প্রেস সচিব ক্যারোলিন ল্যাভিট আগেই জানান, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। তার কিছুক্ষণ পরেই দুই দেশের প্রধানের মধ্যে টেলি-কথন হয়।
প্যাহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তার এক্স হ্যান্ডলে সে কথা জানান। ফোনে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকার ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদী হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। জানান ভারত ও আমেরিকা যৌথভাবে জঙ্গিহানার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
প্যাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে পুলিশ ও সেনার পোশাকে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ৫-৬ জন পাক জঙ্গি এসেছিল পহেলগাঁওয়ে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটনকেন্দ্র প্যাহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক।
আচমকাই মুহুর্মুহ গুলি। সেই শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় এবং পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ছোটাছুটি পড়ে যায়। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রক্ত। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল মাত্র চার থেকে ছ'জন জঙ্গি। স্থানীয় সূত্র জানায়, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সকলের হাতে ছিল একে-৪৭।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় বেছে বেছে পুরুষদের হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন স্বামী, কেউ পুত্র! পরিজনদের হারিয়ে শোকে পাথর অনেকেই। আহতদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। যাঁরা প্রাণ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরতে পেরেছেন তাঁদের চোখেমুখেও আতঙ্কের ছাপ। সবার একই প্রশ্ন, কীভাবে এতবড় হামলার ঘটনা ঘটল?
মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। তখন সবে জম্মু ও কাশ্মীরের 'বিশেষ মর্যাদা'-র অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার 'ছায়া সংগঠন' হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছ'জন আচমকাই মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায়।
ইতোমধ্যে ২ জঙ্গি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। চার জঙ্গির ছবিও প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা।
![]() |
৪ জঙ্গির ছবি প্রকাশ |