মিজানুর রহমান আজহারীর ইউটিউব থেকে নেয়া ছবি |
তাফসির মাহফিলের নামে আয়োজিত জলসাকে রঙ তামাশার আসর বানিয়ে ফেলা হয়।
আজকাল আরো যোগ হয়েছে তাফসির মাহফিলে কোরআন হাদিস থেকে আলোচনা না করে, করে রাজনৈতিক
আলোচনা। গীবত গুজব তো নিত্যকার ঘটনা। এ নিয়ে আয়োজক ও বক্তার মাঝে প্রায়ই হাতাহাতির
মতো ঘটনা ঘটতে দেখি।
আমার আজকের আলোচ্য বিষয়, মাহফিলের মাইক লাগানো নিয়ে। জলসা বা মাহফিল
হয় এক জায়গায়, মাইক লাগায় শহরজুড়ে।
কয়দিন আগেও আমার বাসার পাশে তাফসির মাহফিল হয়ে গেলো। মাইকের আওয়াজে এলাকা
প্রকম্পিত। রাস্তায় বেরিয়ে দেখলাম, ৫-৬ তলা একটা বাড়ির দোতলার বেলকনিতে মাইক লাগানো
হয়েছে। তাহলে সেই বাড়ির বাসিন্দাদের অবস্থা একটু চিন্তা করে দেখুন। এ ব্যাপারে আমরা
কিছু লিখলে ধর্ম ব্যবসায়ীদের রোষে পড়ার সম্ভাবনা। তবুও মাঝেমধ্যে লিখি। কিন্তু মুর্খরা
কর্ণপাত করেনা। ভাবে বেশি বেশি মাইক লাগালে যার কানেই ওয়াজের আওয়াজ পৌঁছবে তিনিই ‘অশেষ নেকী হাসিল
করিবেন’।
আওয়াজ বললাম এই কারণে, সারি সারি বহুতল ভবনের মাঝখানে একটু পরপর মাইক
লাগালে শব্দ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শুধু আওয়াজই শোনা যায়, কিছু বোঝা যায় না।
তো এতোদিন আমরা লিখেছি ভয়ে ভয়ে। আজ দেশের একজন খ্যাতনামা ওয়াজীনের জবানীতে
শুনুন। লেখাটি মিজানুর রহমান আজহারীর ইউটিউবের কমিউনিটি সেকশন থেকে কপি করে
হুবহু তুলে দেয়া হলোঃ
“তাফসির মাহফিলের মাইকগুলো যথাসম্ভব প্যান্ডেলের ভেতরেই
রাখুন।
আগ্রহী শ্রোতারা সেখানে বসেই তাফসির শুনবেন।
শ্রোতাদের সুবিধার্থে উন্নত সাউন্ড সিস্টেম নিশ্চিত করুন।
বিশেষ করে শহরের ভেতরকার মাহফিলগুলোতে দূর-দূরান্তে মাইক বসিয়ে গভীর
রাত পর্যন্ত আলোচনা করে অসুস্থ, বৃদ্ধ, শিশু, অমুসলিম ও ঘুমন্ত মানুষদের কষ্ট দেয়া
আমাদের জন্য
উচিত নয়। আর তাদেরকে এ আলোচনা
শুনতে বাধ্য করার অধিকারই আমাদের কে দিয়েছে?
এভাবে চলতে থাকলে, চিরায়ত এই দ্বীনি ঐতিহ্যের মাহফিলগুলো আধুনিক
সমাজে তার আবেদন হারাবে। দয়া করে ইসলামি প্রোগ্রামগুলোকে বিতর্কিত করা
থেকে বিরত থাকুন।
আমাদের কোন আচরণে বা কার্যক্রমে বিরক্ত হয়ে কেউ যদি ইসলামের ব্যাপারে
বিরূপ মনোভাব পোষণ করে, তার পুরো দায়ভার আমাদের, ইসলাম ধর্মের নয়। ইসলাম চির-সুন্দর,
চির-আধুনিক। ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব আমার,
আপনার, আমাদের সকলের।“
-
মিজানুর রহমান আযহারী
Post a Comment