https://www.bruchlee.com/sitemap.xml সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা - সাত্ত্বিক মহারাজ https://www.bruchlee.com' rel='canonical'

সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা

 

তাজিকিস্তানের মানচিত্র

৭০ শতাংশ মুসলমানের দেশ তাজিকিস্তানের দুশানবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফারখর বিমান ঘাঁটি রয়েছে। আকাশপথে পাকিস্তান থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত এই বিমান ঘাঁটি। ফারখরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাশিয়ার সহায়তায় একটি সামরিক হাসপাতাল রয়েছে। ১৯৮০ সালের যুদ্ধের সময় আফগান যোদ্ধাদের এই সামরিক চিকিৎসা দিতো। ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ' র' এই বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে। এই ঘাঁটিতে ভারতের বিমান বাহিনীর একটি পুরো মিগ-২৯ স্কোয়াড্রন মজুত আছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ও এভিয়েশন রিসার্চের প্রকোশলীরা এখানে রাশিয়ার এমআই-১৭ ও এমআই-৩৮ সিরিজের হেলিকপ্টারগুলো মেরামত করে দিতো। রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারতীয় বিমানবাহিনী কৌশলগত এই বিমান বন্দর নির্মাণ করে।

মধ্য এশিয়ায় দেশ তাজিকিস্তান হচ্ছে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এই বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে ভারত আফগানিস্তানকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ দখলের সব লজিস্টিক সাপোর্ট এবং আফগান বাহিনীকে আরো উচ্চ প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনীতে পরিণত করতে পারে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে যুদ্ধ করা তেহরিক-ই-তালেবান যোদ্ধাদের একটি স্বাধীন খাইবার পাখতুনখোয়া গড়তে এই সামরিক ঘাটি থেকেই সব রকমের সাহায্য করতে পারে ভারত।

𝐈𝐧𝐝𝐢𝐚𝐧 𝐦𝐢𝐥𝐢𝐭𝐚𝐫𝐲 𝐬𝐭𝐫𝐢𝐤𝐞 শুরু হলে এই অঞ্চলে বিশ্বমানের 𝐓𝐏𝐒-77 মাল্টি-রোল রাডার সিস্টেম বসিয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর নেভিগেশন সিস্টেম হ্যাক করে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পাক সামরিক ঘাঁটি গুলোতে হামলা চালাতে পারে ভারত খুব সহজেই। 'ডুরাল্ড লাইন' কে কেন্দ্র করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ চলছে এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, লস্কর-ই-ইসলাম ও জুন্দাল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোকে কাজে লাগাতে পারে ভারতীয় থিংক ট্যাংক বলে পরিচিত DSA (ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস) কে কাজে লাগাতে পারে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ার, সোয়াত ও বালটিস্থান এবং আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের যেসব সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেখানে হামলা করে খুব সহজেই পাকিস্তানকে দূর্বল করতে পারে ভারত।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গত বছর লড়াইয়ে পাকিস্তানি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলী শওকত সহ ছয়জন পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়েছিলো। তেহরিক-ই-তালেবানের কাছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সবগুলো সামরিক ঘাঁটির ডিটেইলস রয়েছে। ভারত আফগানিস্তানে সরকারের সহযোগিতায় এসবকে কাজে লাগাতে পারে। নিজ দেশের ভুমি ব্যবহার না করেও ভারত চাইলেই পাকিস্তানকে টুকরো করে দিতে পারে। শত শত বিমান কেনার পেছনে নয় থেকে দশ বিলিয়ন অর্থ খরচ না করে কাবুল নদীতে বাঁধ দিয়ে পাকিস্তানের পানি সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি স্বশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোকে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করলেই তারাই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশকে স্বাধীন করে ফেলতে পারবে।

পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ জনগণ বাস করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি বিরোধ চলছে। পাকিস্তানের মোট জিডিপির ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ অবদান রাখে সেখানে নিরীহ মুসলমানদের ঘরে ঢুকে হত্যা করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পশতুন, হিন্দকোয়ান, সারাইকি ও চিত্রালী জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানদের উপর পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে। পশতুন তাহাফুজ মুভমেন্ট নামে পশতুনরা দীর্ঘদিন পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার জন্য লড়াই করছে। পিটিএম দিন দিন পাকিস্তানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভারতের এই মুহূর্তে তাদের মোট সামরিক বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ এই সাহসী আফগান পশতুনদের জন্য বরাদ্দ করা হলে তা পাকিস্তান নামক নরকের দেশ থেকে মুক্তিলাভ করে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে।

বিশ্বের সকল মানবতাবাদী মানুষদের পশতুনদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গত কয়েকদিন আগেও পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরাপরাধ ৫৪ জন পশতুনকে হত্যা করেছে। পশতুন মুসলিম নারীদের অপহরণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে। এসব অন্যায়ের জবাব দিতে পাকিস্তানে গড়ে উঠেছে 'পশতুন লিবারেশন আর্মি'। ভারতের উচিত এসব অসহায় জাতিগোষ্ঠীর পাশে মানবিক দিক থেকে এগিয়ে আসা। যুদ্ধ শুধু শক্তি দিয়ে হয় না, কৌশলী হতে হয়।।

সত্য সবসময় সুন্দর।

লুসিড ড্রিম (শুভ)

০১ মে, ২০২৫

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url