রাজধানী ঢাকায় 'মার্চ ফর গাজা" নামে ইজরাইল বিরোধী র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

ছবি: ওয়াশিংটন টাইমস


১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার রাজধানী ঢাকায় এক সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকেই ইজরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচার গণহত্যার বিপক্ষে, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। বিএনপি যেমন বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছে, আওয়ামীলীগ মাঠে থাকলে তারাও জানাতো। তাই এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা করা হয়ে থাকে। 

তবে বাংলাদেশের আজকের ঘটনাটি ছিল ব্যতিক্রম। সমাবেশে আগত মিছিলে আইএস এর কালো পতাকা বহন (যদিও সেনাবাহিনী কালো পতাকা ছিনিয়ে নেয়), হিটলারের ছবি সম্মানের সাথে বহন করে। পক্ষান্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেতানিয়াহু ও নরেন্দ্র মোদীর ছবিতে লাঠিপেটা করে। 

কারো প্রতি বিক্ষোভ বা ঘৃণা প্রকাশ করে তার ছবিতে প্রতীকী অগ্নি সংযোগ (কুশ পুত্তোলিকা দাহ) নতুন নয়। কিন্তু অত্যধিক ঘৃণা প্রকাশ সহ হিংস্রতা প্রদর্শন পূর্বক লাঠিপেটা কালচার নতুন শুরু হয়েছে। সে কারণেই হয়তো বিষয়গুলি বিশ্ব মিডিয়ার নজর কেড়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের "দি ওয়াশিংটন টাইমস" পত্রিকা এ নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে। রিপোর্টটির বঙ্গানুবাদ তুলে দেয়া হলো:


"বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ১,০০,০০০ মানুষের সমাবেশ" 

- দি ওয়াশিংটন টাইমস

"ঢাকা, বাংলাদেশ — গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে শনিবার বাংলাদেশের রাজধানীতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমাবেশ করে।

প্রায় ১,০০,০০০ বিক্ষোভকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সোহরাওয়ার্দী পার্কে জড়ো হয়েছিল। তারা শত শত ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে এবং "মুক্ত, মুক্ত ফিলিস্তিন" স্লোগান দেয়।

তাদের মধ্যে অনেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পিটিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমাবেশে বেসামরিক হতাহতের প্রতীকী কফিন এবং কুশপুত্তলিকা বহন করা হয়।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ইসলামপন্থী দলগুলি এই সমাবেশের সাথে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে।

১৭ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ ইসরায়েলের সাথে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না এবং আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে।"

রিপোর্ট: দি ওয়াশিংটন টাইমস


Post a Comment

Previous Post Next Post