বাবা ভাঙ্গা ও নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণী: ২০২৫ সালে সম্ভাব্য যা যা ঘটতে পারে

 

বাবা ভাঙ্গা


প্রাচীন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গা ও নস্ত্রাদামুস (রাস্তা দামুস) বহু শতাব্দী আগে এমন কিছু ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন, যা আজও মানুষকে কৌতূহলী করে তোলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বিশ্বে বিশেষ কিছু ঘটলে মানুষ তাদের কথা স্মরণ করে। তাদের করা ভবিষ্যৎবাণী তল্লাশি করে। 

আশ্চর্যজনক যে ইতোপূর্বে তাদের করা ভবিষ্যদ্বাণী প্রায় সবগুলোই মিলে গেছে। ২০২৫ সালকে ঘিরে তাঁদের কিছু ভবিষ্যৎবাণী বর্তমানে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।

২০২৫ সালের জন্য বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী

বুলগেরিয়ান রহস্যময়ী নারী বাবা ভাঙ্গা দাবি করেছিলেন, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি গুরুতর রাজনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে যা ভয়ংকর সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। এই সংঘর্ষের ফলে গোটা ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইউরোপের জনসংখ্যা এই যুদ্ধের কারণে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং কিছু রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে নিজেদের পথ বেছে নেবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছেন যে, এই যুদ্ধের পর রাশিয়া গোটা পৃথিবীকে চালনা করবে। এছাড়া আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাতের মতো একের পর এক বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় হবে।
এছাড়া প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে মানুষ ও মেশিনের সম্পর্ক আরও গভীর হবে, যা সামাজিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে।

২০২৫ সালের জন্য নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণী 

ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুস তাঁর ছড়া-ভিত্তিক কেতাবে লিখেছিলেন, ২০২৫ সালের কাছাকাছি সময়ে বিশ্বে একটি বড় সংঘাত বা বিপর্যয় আসতে পারে, যা রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক-দুটিই হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন “আকাশ থেকে আগুনের বৃষ্টি” বা “উত্তর গোলার্ধে অশান্তি”, যা অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তন বা যুদ্ধের আভাস হিসেবে দেখেন।

নিজের বইতে নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন যে ২০২৫-এ ইউরোপ এক নিষ্ঠুর যুদ্ধের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবে। এই মহাদেশের ভেতরে ও বাইরে, সর্বত্র শত্রু মাথাচাড়া দেবে। এই যুদ্ধের ফলে ব্রিটেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। 

ইউরোপের পুরোনো কোনও মহামারী ভয়াবহ আকার নিয়ে আবার ফিরতে চলেছে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। নস্ত্রাদামুসের এই ভবিষ্যদ্বাণী পড়ে ইউরোপে আবার প্লেগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। এছাড়া ২০২৫-এ পশ্চিমী শক্তিগুলোর পতন হবে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রে কোনও নতুন শক্তি উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যদিও এসব ভবিষ্যৎবাণী প্রতীকী ও ব্যাখ্যাসাপেক্ষ, তবে বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এদের গুরুত্ব একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। ২০২৫ সাল কতটা মিলে যাবে এ ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে তা সময়ই বলে দেবে।


Post a Comment

Previous Post Next Post