মিস ক্যালকাটা জয়শ্রী কবীর

 

জয়শ্রী কবির তখন-এখন


“বিমূর্ত এই রাত্রি আমার মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙ্গিন চাদর”।
“সীমানা পেরিয়ে” ছবিতে জয়শ্রী কবিরের ঠোটে আবিদা সুলতানার গাওয়া এ গানটি ইতিহাস হয়ে আছে।
---------------------------------------------------
প্রকৃত নাম জয়শ্রী দাশগুপ্ত। কলকাতার মেয়ে। একসময়ের “মিস ক্যালকাটা” খেতাবে ভূষিত জয়শ্রীর ১৯৭০ সালে বিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের “প্রতিদ্বন্দ্বী” ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।
টলিউডে অভিনীত তার অন্যান্য ছবিগুলো হলো - একদিন সূর্য, অচেনা অতিথি, সব্যসাচীসহ আরও বেশকিছু।
 
তার প্রথম স্বামী ছিলেন প্রবীর রায়। সেই সুবাদে দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়েছিলেন জয়শ্রী রায়। কিন্তু সে সংসার তাদের বেশিদিন টেকেনি। ওই ঘরে তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
 
পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরিচালক আলমগীর কবিরের সাথে বিয়ে হবার সুবাদে হন জয়শ্রী কবির। আলমগীর কবিরের বিখ্যাত সব ছবিরই নায়িকা জয়শ্রী।
তার অনন্য অভিব্যক্তি এখনো সে সময়ের দর্শকদের চোখে লেগে আছে। কলকাতার মেয়ে জয়শ্রী আলমগীর কবিরকে বিয়ে করে থিতু হয়েছিলেন এদেশে। এক সময় ছাড়াছাড়ি হলে পাড়ি জমান লন্ডনে।
 
লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক হিসাবে এখনো কর্মরত জয়শ্রী কবির।
আলমগীর কবিরের মৃত্যুর পর একমাত্র সন্তান লেনিন সৌরভ কবিরকে লন্ডন নিয়ে যান জয়শ্রী।

গুণী এই অভিনেত্রী সুযোগ পেলে ও ভালো গল্প হলে এখনো এদেশের চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে নির্মিত জয়শ্রী কবির অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে - সীমানা পেরিয়ে, সূর্যকন্যা, দেনা পাওনা, শহর থেকে দূরে, পুরস্কার, রূপালী সৈকতে, মোহনা, নালিশ প্রভৃতি।
 
জয়শ্রী কবিরের জন্ম ০৯ ডিসেম্বর ১৯৫০সালে কলকাতায়।
১৯৬৮ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় “মিস ক্যালকাটা” উপাধি পান তিনি।
জয়শ্রী কবীররা চার বোন। পিতার নাম শ্রী অমলেন্দু দাশগুপ্ত। পড়াশোনা করেছেন কুইন অব মিশনে এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। পরবর্তীতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
 
১৯৭৬ সালে উত্তম কুমারের সাথে “অসাধারণ” চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন তিনি।
 
“বাচসাস” পুরস্কারপ্রাপ্ত জয়শ্রী কবিরের জন্য রইল শুভ কামনা।
 
লিখেছেনঃ আশরাফুল আলম
(আংশিক সম্পাদিত)


Post a Comment

Previous Post Next Post