এক:
৫০ বছরের বুড়ি, তার প্রতি সন্দেহ করতো তার স্বামী। কিন্তু তার কোন সাক্ষী ছিল না। সেই হিসেবে তার স্ত্রী যখন কোরআন শপথ করে বলতে চেয়েছিল তা আমলে না নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে তার স্বামী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী কোরআন অবমাননার মতো জঘন্য কাজ ঘটিয়ে বসে, যদিও এটাও তার স্বামীর দেয়া তথ্য থেকেই সবাই জেনেছে।
যেহেতু তার স্বামীর কোনো স্বাক্ষী নাই, তাই মহিলা যদি কোরআন ছুঁয়ে আল্লাহর নামে শপথ করে কিছু বলতো, তা আল্লাহর বিধান অনুযায়ীই হতো, যেমনটি পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহর বর্ণনা করেছেন(২৪:৬)।
দুই:
পবিত্র কোরআন শরীফের একই সূরায় তার আগের আয়াতে(২৪:৪) আল্লাহ যা বর্ণনা করেছেন তাও প্রণীধানযোগ্য। কিন্তু আল্লাহর বিধানের কোনটাই ফলো না করে সমাজপ্রভুরা শুধু শোনা কথায় আগে অবমাননার বিচার দাবিতে দলবদ্ধ হয়েছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক হুজুর ওই মহিলার হাত ধরে রেখেছেন। সেই হুজুর কি বেগানা পুরুষ নয়, নাকি সেই তার স্বামী?
কথায় আছে, "ঝগড়ায় জিতে যে, বিচারে ঠকে সে"। এখানে কে জিতেছে কে হেরেছে তা ছাপিয়ে কোরআন অবমাননার বিষয়টা আগে সামনে এসেছে।
অবশ্যই কোরআন অবমাননা হয়ে থাকলে ওই মহিলার আইনানুগ বিচার হবে। পাশাপাশি তার স্বামী এবং সমাজপতিরা আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে থাকলে তারও যেনো বিচার হয়। নইলে নারী নির্যাতন সহজে বন্ধ হবে না, সমাজ সচেতন হবে না। in
Post a Comment