![]() |
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র্যালী উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধান। ছবিঃ যমুনা টিভির সৌজন্যে |
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্যতম প্রধান উৎসব। এদিনে দেশব্যাপী নানা অনুষ্ঠান, পূজা-অর্চনা ও ধর্মীয় শোভাযাত্রা পালিত হয়। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, এ বছর জন্মাষ্টমীর প্রধান অনুষ্ঠানগুলোতে তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি শুধু আনুষ্ঠানিক সৌজন্যই নয়, বরং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে—বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহাবস্থান ও ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বার্তায়ও সেই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গা, কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল ধর্মের অনুসারীরাই সমানভাবে দায়বদ্ধ। তাঁর বক্তব্যে “সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ” গড়ার আহ্বান বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
এ ধরনের অবস্থানকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখলে ভুল হবে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঠিক সে সময় জন্মাষ্টমীর মতো বড় উৎসবে তিন বাহিনী প্রধানের উপস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের সম্প্রীতির বার্তা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এক ধরনের আশ্বাস প্রদান করে। এটি দেখায়, সেনাবাহিনী শুধু সীমান্তরক্ষার দায়িত্বেই নয়, জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সর্বোপরি, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সেনাপ্রধানের বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—বাংলাদেশের প্রকৃত শক্তি তার বহুত্ববাদে। ধর্মীয় বৈচিত্র্যই আমাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য, আর সেই বৈচিত্র্য রক্ষাই আজকের সবচেয়ে বড় কর্তব্য।
সম্পর্কিত আরও পড়ুন
সম্পর্কিত পোস্ট লোড হচ্ছে...
Post a Comment