ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। বিস্তারিত বিশ্লেষণ পড়ুন।
লন্ডন, ২৩ জুন ২০২৫ — নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠ টিমের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে তিনি ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড ও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, ড. ইউনূস দেশের প্রচলিত আইনকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করছেন এবং বাংলাদেশকে একটি অস্থির অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি উল্লেখ করেন, "আপনি একজন নোবেলজয়ী হয়েও এমনভাবে কাজ করছেন, যেন আপনার ব্যক্তিগত ইমেজ রক্ষা করাই জাতির স্বার্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।"
টিউলিপের মতে, শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন, কর ফাঁকি ও বেআইনি লভ্যাংশ বণ্টন–এই তিনটি গুরুতর অভিযোগে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সহানুভূতি আদায়ে সচেষ্ট।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "আপনার কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এতে পশ্চিমা গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এমনকি কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের আপনি ব্যবহার করছেন যেন তারা বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন।"
চিঠির শেষাংশে টিউলিপ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ জানে কীভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হয়। বিদেশি চাপ কিংবা কৃত্রিম সহানুভূতির মুখাপেক্ষী হয়ে নয়।”
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট:
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন প্রভাবশালী এমপি। তিনি শেখ রেহানার কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। এ কারণে তার বক্তব্যকে শুধু ব্যক্তিগত মত নয়, অনেকেই রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে বিবেচনা করছেন।
অন্যদিকে ড. ইউনূসের সমর্থকরা মনে করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকার তাকে প্রতিহত করতে চায়। এই চিঠি সেই বিতর্ককে আরও ঘনীভূত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত কি?
ড. ইউনূস ও টিউলিপ সিদ্দিকের এই মতবিরোধ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে? মন্তব্য করে জানান।
Post a Comment