সাফল্যের আরেক
নাম ইতি গৌড়। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল চা-বাগান থেকে উঠে আসা এই মেয়েটি
প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত
সাফল্য নয় — বরং পুরো চা-বাগান সমাজের জন্য এক গৌরবময় ঘটনা।
চা-শ্রমিক
পরিবারে জন্ম নেওয়া ইতি গৌড় ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা নিয়ে সংগ্রাম করে এগিয়েছেন। সীমিত
সুযোগ, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা — কোনো কিছুই তাঁর স্বপ্নকে দমিয়ে
রাখতে পারেনি। সাফল্যের এই গল্প একদিকে যেমন অনুপ্রেরণার, তেমনি সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর
শিক্ষার সুযোগ প্রসারে আমাদের ভাবনার খোরাকও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কঠিন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইতি প্রমাণ করেছেন — মেধা ও পরিশ্রম থাকলে পেছনের
সারি থেকেও সামনের কাতারে উঠে আসা সম্ভব।
এই অর্জনে
ইতির পরিবার, শিক্ষক, বন্ধুবান্ধবসহ গোটা বরমচাল চা-বাগানে আনন্দের জোয়ার বইছে। বহুদিন
পর এই বাগান যেন পেয়েছে নতুন করে বাঁচার এক স্বপ্ন, এক উদ্দীপনা।
ইতির এই পথচলা
যেন আরও তরুণ-তরুণীকে উৎসাহিত করে শিক্ষা ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে।
ইতি গৌড়ের এই অসাধারণ সাফল্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল চা-বাগান থেকে উঠে এসে তিনি প্রথমবারের মতো ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
চা-শ্রমিক পরিবারের সন্তান ইতি গৌড় ফিন্যান্স
বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিবিএ বিভাগেও সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত ঢাবিকেই বেছে নিয়েছেন।
ইতির এই অর্জন শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত
সাফল্য নয়, বরং পুরো বরমচাল চা-বাগান সম্প্রদায়ের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর এই পথচলা
প্রমাণ করে, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দৃঢ় মনোবল ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভব।
ইতির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, “আগে ভালোভাবে লেখাপড়া শেষ করতে চাই। ভালো রেজাল্ট হলে চাকরি পাওয়া
কঠিন হবে না। ফিন্যান্সের পড়া শেষ করে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিষয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে।”
এই সাফল্যে তাঁর পরিবার, শিক্ষক, বন্ধুবান্ধবসহ
গোটা বরমচাল চা-বাগানে আনন্দের জোয়ার বইছে। ইতি গৌড়ের এই অর্জন প্রমাণ করে, মেধা ও
পরিশ্রম থাকলে পেছনের সারি থেকেও সামনের কাতারে উঠে আসা সম্ভব।
إرسال تعليق