![]() |
বিচারপতি আব্দুর রউফ |
২. ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এর নির্বাচন। যে নির্বাচনে সংসদ টিকে ছিল দেড়মাস।
সিইসি ছিলেন বিচারপতি সাদেক। লোকেরা তাকে "ছাদে-কালী" বলে বিদ্রুপ করতো।
৩. ২০০৪ সালে ঢাকা ১০ এর নির্বাচন, যে নির্বাচনে কারচুপি করে ফালুকে জেতানো হয়। ৫% ভোটার উপস্থিত না হলেও ফালুর প্রাপ্ত ভোট টোটাল ভোটের ৮০% দেখানো হয়।
৪. ২০০৭ এর জানুয়ারি মাসের মিছামিছি নির্বাচন (তাতে তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে সেই নির্বাচনে সংসদের খাতায় কারো নাম ওঠেনি, কারণ সেটা নির্বাচন বলে গণ্য হয়নি)।
সিইসি ছিলেন বিচারপতি আজিজ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শ্লোগানের উৎপত্তি করেছিলেন "আইজ্জ্য তুই বাইত যা"।
এরপর আওয়ামীলীগ প্রায় ষোলো বছর দেশ চালিয়েছে। পূর্বের কোনো সিইসির বিরুদ্ধে কি কোনো মামলা হয়েছে বা কে এম নুরুল হুদার মতো কাউকে অপমান করা হয়েছে?
এখন যে নজির সৃষ্টি হলো, ইতিহাসের কুখ্যাত সেসব নির্বাচনে যারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করবেন? মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে প্রাথমিক বিচার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন?
নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তার জবাবদিহিতা একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে। নির্বাচনকালীন প্রশাসনিক ক্ষমতাও থাকে নির্বাচন কমিশনের হাতে। পিঠটান করে দাঁড়ালে কোনো সরকার তার উপর ছড়ি ঘোরাতে পারে না। ইতোপূর্বে এমন অনেকবার দেখা গেছে। তবুও পারিপার্শ্বিকতা অনুকূল না প্রতিকূল তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
এখন যেমন অনেক উপরস্থের কথা অধীনস্থরা শুনছেন না বা পালন করতে পারছেন না, কারণ, প্রোপার চ্যানেলের বাইরে থেকেও কিছু নির্দেশ যায়। সেই অজুহাত দেখিয়ে অনেক নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও নেয় হয়তো অনেকে। তাই সবাইকে সংযত হতে অনুরোধ করছি।
إرسال تعليق