প্রতীকী ছবি |
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার পরিদর্শনে গিয়েছেন—উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের অবস্থা নিজ চোখে দেখা। কিন্তু বাস্তবতা তাকে এমন এক কৌতুকপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যা হয়তো কোনো নাটককেও হার মানায়।
দৃশ্যটি এমন:
প্রেসিডেন্ট (একজন কসাইয়ের কাছে): কেমন আছো? বেচাকেনা কেমন চলছে?
কসাই: সব ঠিক আছে স্যার, তবে আজ বিক্রি বন্ধ।
প্রেসিডেন্ট: কেনো?
কসাই: আপনার আগমণের কারণে কাউকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আপনি চলে গেলে আবার স্বাভাবিক হবে।
প্রেসিডেন্ট: মন খারাপ কোরো না। আমিই আজ তোমার প্রথম কাস্টমার। ওই রানটা থেকে ৫ কেজি মাংস কেটে দাও।
কসাই: দুঃখিত স্যার, কাটতে পারবো না স্যার।
প্রেসিডেন্ট: কেনো?
কসাই: নিরাপত্তার খাতিরে সব চাকু–বটি জব্দ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট: আচ্ছা, রানটা সম্পূর্ণ দাও, ওজন করে পরিষ্কার করে দিও।
কসাই: সেটাও পারবো না স্যার।
প্রেসিডেন্ট: কেনো?
কসাই: কারণ আমি কসাই নই, আমি ইন্টেলিজেন্সের লোক। আজ সব দোকানে আমাদের লোকই বসানো হয়েছে।
শেষে প্রেসিডেন্ট যখন রাগে ফেটে পড়লেন, তখন উত্তরটা ছিল আরও চমকপ্রদ:
প্রেসিডেন্টঃ ডাকো, তোমাদের কমান্ডারকে ডাকো>
কসাইঃ আমাদের কমান্ডার এখন আপনার জন্য বড় বড় রুই-চিতল নিয়ে মাছের দোকানে বসে আছেন স্যার।
এই গল্পের পেছনের বাস্তবতা
যদিও এটি হয়তোবা বাস্তব কোনো ঘটনার প্রতিবেদন নয়, তবে এর মাঝে ফুটে উঠেছে প্রশাসনিক সফরের সময়কার নিরাপত্তা-অতিরঞ্জনের একটি ব্যঙ্গাত্মক চিত্র। আমরা প্রায়ই দেখি—উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সফরে "জনগণের বাস্তবতা দেখা"র উদ্দেশ্যটি শেষ পর্যন্ত লোক দেখানো এবং সাজানো রুটিনে সীমাবদ্ধ থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে:
যদি সাধারণ মানুষের বাস্তব অবস্থা দেখতেই না দেওয়া হয়, তাহলে সেই পরিদর্শণের অর্থ কী?
উপসংহার
এই ব্যঙ্গাত্মক গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—নেতার সঙ্গে জনগণের সংযোগ কেবল ফটোসেশনে সীমাবদ্ধ থাকলে বাস্তবতা জানা এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা হারিয়ে যায়। এ ধরনের পরিদর্শন যেন "প্রতীকী নয়, কার্যকর" হয়—সেই প্রত্যাশা সকলের।
إرسال تعليق