ছবির উৎসঃ Hindustan Times বাংলা |
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের চান্দেল জেলায় ১৪ মে ২০২৫ তারিখে
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষটি ঘটে
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নতুন সামতাল গ্রামের কাছে, যেখানে সম্প্রতি সীমান্তে
বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
সংঘর্ষের পটভূমি
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসাম রাইফেলসের একটি ইউনিট বিদ্রোহীদের গতিবিধি
শনাক্ত করে এবং অভিযান চালায়। অভিযানের সময় বিদ্রোহীরা প্রথমে গুলি চালালে আসাম
রাইফেলস পাল্টা জবাব দেয়। এই সংঘর্ষে ১০ জন বিদ্রোহী নিহত হন। অভিযান শেষে বিপুল
পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
- ৭টি AK-47
রাইফেল
- ১টি M4 রাইফেল
- ১টি RPG লঞ্চার
- ৪টি সিঙ্গেল
ব্যারেল ব্রিচ লোডিং রাইফেল
- প্রচুর পরিমাণ
গুলি ও বিস্ফোরক
নিহতদের পরিচয় ও পটভূমি
নিহতদের নাম বা সংগঠন প্রকাশ করা হয়নি, তবে সেনা সূত্র জানায়, তারা
মিয়ানমার-ভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য এবং সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ
করেছিল। এই সংঘর্ষ ঘটেছে সেই সময়, যখন ভারত সরকার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মণিপুরে চলমান অস্থিরতা
মণিপুরের চান্দেল জেলা একটি পাহাড়ি এলাকা, যেখানে কুকি, নাগা ও অন্যান্য
উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস। রাজ্যটি ৩৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে
মিয়ানমারের সঙ্গে। এই সীমান্ত বহু বছর ধরে বিদ্রোহী ও চোরাচালানকারীদের
অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
২০২৩ সাল থেকে রাজ্যে মেইতেই ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা
চলমান, যাতে অন্তত ২৬০ জন নিহত এবং ৬০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই সংঘর্ষ
সেই অস্থির পরিস্থিতির একটি ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উপসংহার
এই সাম্প্রতিক সংঘর্ষ মণিপুরের চলমান নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার
একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করলো। সীমান্ত নিরাপত্তা ও রাজ্যের অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায়
রাখার জন্য কেবল সামরিক অভিযানই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন রাজনৈতিক সংলাপ, সামাজিক
ঐক্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
🗣️ পাঠকের উদ্দেশে
প্রশ্ন:
আপনার কী মনে হয়, রাজনৈতিক সমঝোতা ও উন্নয়ন ছাড়া কেবল সেনা অভিযানে মণিপুরের
দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান সম্ভব?
👇 নিচে মন্তব্যে জানান
আপনার মতামত।
📚 তথ্যসূত্র:
إرسال تعليق