ছবিঃ বিডি ডাইজেস্ট

জাতিসংঘের তৃতীয় ওশান কনফারেন্স উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ফ্রান্স সফরের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। সম্মেলনের পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেরও অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফ্রান্সের পক্ষ থেকে সদুত্তর না মেলায় শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয় এই সফর।

এই বছর ৯ জুন ফ্রান্সের নিস শহরে শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলন, যেখানে সাগর–সম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বিশ্ব নেতারা অংশ নেবেন। সম্মেলনের প্রাক্কালে আয়োজিত নৈশভোজে ফরাসি প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও, ড. ইউনূসের সফর না হওয়াটা কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়—এই মুহূর্তে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় দেওয়া সম্ভব নয়। প্যারিস আরও জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয় বরং ফলপ্রসূ আলোচনার সম্ভাবনা থাকলে তবেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আগ্রহী। এর পেছনে স্যাটেলাইট ও এয়ারবাস ক্রয়ের পুরনো প্রতিশ্রুতি এবং জলবায়ু অর্থায়নের প্রসঙ্গও আকারে-ইঙ্গিতে এসেছে।

ঢাকা জানিয়েছে, জরুরি সরকারি দায়িত্বের কারণে প্রধান উপদেষ্টা এই সফরে যাচ্ছেন না এবং তার পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সরকার বলছে, বাংলাদেশ সম্মেলনে অংশ নেবে, তবে প্রতিনিধিত্ব করবেন কে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

এই ঘটনাটি শুধু একটি বাতিল সফরের গল্প নয়, বরং এতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিল বাস্তবতা—যেখানে প্রতিটি বৈঠক, প্রতিটি সম্মেলন হয়ে ওঠে একটি বার্তা বহনকারী কূটনৈতিক কৌশল।