ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: শান্তির পথে অগ্রগতি না নতুন উত্তেজনার সূচনা?


ছবিঃ প্রথম আলো


২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ১৮ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়েছে। www.ndtv.com

যুদ্ধবিরতির পটভূমি

২৩ এপ্রিল ২০২৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৭ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৫ জন হিন্দু পর্যটক ছিলেন। এই ঘটনার পর ভারত 'অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। Wikipedia

যুদ্ধবিরতির মূল শর্তাবলি

মার্কিন মধ্যস্থতায় ১০ মে ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। চুক্তির আওতায় উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করতে সম্মত হয়। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত নয় এবং ভারত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

কাশ্মীরের প্রতিক্রিয়া

হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী শান্তির দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন এবং কাশ্মীরের জনগণকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। @EconomicTimes

উপসংহার

বর্তমান যুদ্ধবিরতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, কাশ্মীর ইস্যু এবং পারস্পরিক আস্থার অভাব এই চুক্তির স্থায়ীত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই এই যুদ্ধবিরতি শান্তির পথে অগ্রগতি না নতুন উত্তেজনার সূচনা—তা সময়ই বলে দেবে।

আপনার মতামত কী? এই যুদ্ধবিরতি কি স্থায়ী শান্তির দিকে একটি পদক্ষেপ, নাকি সাময়িক বিরতি মাত্র? মন্তব্যে জানান।


উৎসসমূহ: 











Post a Comment

Previous Post Next Post