প্রতীকী ছবি |
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে
ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বিরাজ করছে। এমন সময়ে দেশের একমাত্র আস্থার কেন্দ্র হিসেবে
জনগণের চোখ এখনো সেনাবাহিনীর দিকেই তাকিয়ে আছে। কারণ, বিভিন্ন বাহিনী বা
প্রতিষ্ঠান যখন বারবার ব্যর্থ হয়েছে কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবের বলয়ে আবদ্ধ হয়ে
পড়েছে, তখন সেনাবাহিনী-ই এখনো একটি তুলনামূলক নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ
প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের মানুষের বিশ্বাস ধরে রেখেছে।
যেহেতু সেনাবাহিনী এখনো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে,
তাই তাদের উচিত:
- দেশে ন্যায় ও
শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা
- সব নাগরিকের
নাগরিক অধিকার রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা
- জঙ্গিবাদ ও
চরমপন্থার বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখা
- চলমান অরাজকতা ও
বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা
দুই দিন আগে ধানমণ্ডি থানার ওসির নেতৃত্বে একটি উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিরুদ্ধে যে
দৃঢ় ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা সামাজিক মাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে
প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোন অদৃশ্য ইশারায় যেন এই ধরনের ন্যায়সঙ্গত কাজের জন্য উল্টো ওই কর্মকর্তার
বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি কেবল হতাশাজনক
নয়, বরং একটি গভীর অসুস্থ প্রশাসনিক সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে ভালো কাজের
পুরস্কার নেই—বরং শাস্তিই মেলে। এই ধরনের অবস্থান জাতিকে অরাজকতা থেকে মুক্তির পথ
দেখাতে পারে না। এ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা সময়ের দাবি।
এদিকে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট একটি নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘এনসিপি’ সম্প্রতি
নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এটি দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—আসলেই কী
সরকার এই গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে? এবং এর মাধ্যমে তারা কী বার্তা দিতে
চায়?
করিডোর প্রসঙ্গে
সম্প্রতি তথাকথিত ‘নিরাপত্তা উপদেষ্টা’র সংবাদ সম্মেলনে
দেওয়া বক্তব্যে যে অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা ছিল, তা সাংবাদিকরাও কতটুকু বুঝতে
পেরেছেন, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। অতএব, শুধু বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সরকার
ও সেনাবাহিনীর উচিৎ দেশের স্বার্থে, জনগণের আস্থার জায়গায়
দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে কঠোর। স্পষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে যেন আর দ্বিধা না থাকে—এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
Post a Comment