প্রতীকী ছবি |
অভিনেত্রী
বাঁধনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও যমুনা টিভি অনলাইনে দেওয়া আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক
সাক্ষাৎকার ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন—তিনি কি কোনো
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার ছায়ায় পরিচালিত হচ্ছেন?
বাংলাদেশে
যখন রাজনীতি, গোয়েন্দা তৎপরতা
আর মিডিয়া একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়, তখন হঠাৎ করেই সামনে চলে এসেছেন অভিনেত্রী—বাঁধন। পর্দার নীরব শক্তি
হিসেবে যার পরিচিতি, সেই বাঁধনের গত
কয়েক মাসের সক্রিয়তা এখন নানা মহলে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। যমুনা টিভিতে মুখখোলা
সাক্ষাৎকারে তিনি যতই বলুন “আমি কোনো
গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য নই”, ততই যেন জমাট বাঁধছে জনমনে প্রশ্ন—“মাচার তলে কে রে?”
‘সচেতন নাগরিক’ না ‘সচল চর’?
বাঁধনের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, পশ্চিমা নীতি, এমনকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ে ধারালো মন্তব্য—এসব কি নিছকই সচেতন নাগরিকের কণ্ঠ? নাকি কৌশলী বার্তাবাহক?
তার
অবস্থান এমনভাবে সাজানো, যা তাকে রাখে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ কিন্তু আদতে মৌলিক সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। তার কথাবার্তা, শব্দ চয়ন, নির্দিষ্ট ইস্যুতে হঠাৎ জ্বলে ওঠা—এসব কি কোনো গোয়েন্দা কাঠামোর পূর্ব
নির্ধারিত ন্যারেটিভের অংশ?
যমুনা টিভির সাক্ষাৎকার: বিশ্বাসযোগ্যতা না ব্যাখ্যাজালে ফাঁদ?
সম্প্রতি
যমুনা টিভির একটি সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেছেন—
“আমি কোনো
গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য নই। আমি একজন অভিনেত্রী
ও সচেতন মানুষ।”
ঠিক
এখানেই প্রশ্ন—এই কথা বলার
দরকার পড়ল কেন? কে তাঁকে এ নিয়ে
অভিযুক্ত করেছে যে তিনি নিজেকে এত ব্যস্ত হয়ে খণ্ডন করতে গেলেন?
এটি
কি পূর্ব নির্ধারিত “ড্যামেজ
কন্ট্রোল”? নাকি জনমনে
উত্থিত এক বাস্তব সন্দেহ দূর করার জন্য সাজানো এক পর্দানাট্য?
‘নিরপেক্ষ’ মুখোশের আড়ালে পশ্চিমা
ছায়া?
বাঁধনের
মতপ্রকাশ পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থা,
কিছু
আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও এনজিও-ধারার বক্তব্যের
সঙ্গে এতটাই সাদৃশ্যপূর্ণ যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—
“এটা কি কাকতালীয়, না পরিকল্পিত?”
বিশেষ
করে পশ্চিমা বিশ্বে যেসব গোয়েন্দা সংস্থা নরম কূটনীতির নামে “কনটেন্ট অপারেশন” চালায়—তাদের
পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করা 'কালচারাল
অ্যাসেট' বা মুখপাত্র তৈরির
ইতিহাস নতুন নয়।
চুপ থাকা কি সমাধান,
না প্রমাণ?
বাঁধনের
বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা হয়নি, কোনো তথ্যপ্রমাণ
সামনে আসেনি। কিন্তু তথ্য প্রমাণ কি সবসময় ওপেন ফাইলের মতো সামনে আসে? রাষ্ট্রবিরোধী ন্যারেটিভ যে আজকাল শব্দে, স্ট্যাটাসে, স্টোরিতে ছড়িয়ে পড়ে—তা কি আর অজানা?
তাই
অনেকেই বলছেন—“যদি দুধে পানি
না থাকে, তবে এত আত্মপক্ষ
সমর্থনের দরকার কী?”
উপসংহার: সন্দেহ কি ষড়যন্ত্র, না চেতনার অঙ্গার?
বাঁধনের
বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা উচিত নয়—সেটি আইনের বিষয়। তবে জনগণের চোখে
তিনি এখন আর নিছক একজন অভিনেত্রী নন। তিনি এক ‘আন্দাজে
নিরাপত্তা-ঝুঁকি’—যার ব্যাখ্যা হয়তো আজ নেই, কিন্তু প্রমাণ একদিন সময় দেবে।
পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
আপনি কি
মনে করেন, বাঁধনের মতপ্রকাশ
স্বাধীনতার অংশ, না কি
নিয়ন্ত্রিত চর্চা? যমুনা টিভির
সাক্ষাৎকার কি সন্দেহ দূর করল, না বরং আরও গাঢ়
করল?
إرسال تعليق