নামাজে হাত বাঁধা নিয়ে বিতর্ক

আজকাল প্রায়ই দেখি নামাজে নাভীর নিচে হাত না বুকে হাত বাঁধতে হবে এ নিয়ে ঝগড়াঝাটি করে। আমার এক বন্ধু ছিলো। সে মাদ্রাসা লাইনে টাইটেল পাশ, আবার জেনারেল লাইনেও বিএ পাশ। সে একটা বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতো। তার কাছে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল শুনতাম। 


সে বলতো, ‘বেদুঈন যুগে আরবে ইসলাম ধর্ম যখন প্রবর্তিত হয় তখন অনেকেই শতভাগ বিশ্বাস নিয়ে ধর্মীয় বাণী শুনতে কিংবা নামাজ পড়তে যেতো না। কেউ কেউ বিশ্বাসী সেজে দুষ্টুমি করতেও যেতো। তারা পেছন থেকে নামাজরত মুসল্লিদের পরিধানের কাপড় টেনে খুলে ফেলতো। মহিলা মুসল্লিদের শরীরে হাত দিতো। সে কারণে নিয়ম ছিল পুরুষরা নাভির নিচে হাত বাঁধবে(যাতে পরিধানের কাপড় খুলতে না পারে)। মহিলারা বুকে হাত বাঁধবে(সম্ভ্রম রক্ষার্থে)। 


 কিছু সন্দেহবাদী মুসল্লি আবার নামাজে যাওয়ার সময় তাদের বাপ দাদার ধর্মের দেবতা অর্থাৎ ছোট ছোট মূর্তি সাথে নিয়ে যেতো এবং সেটা বগলে রেখে নামাজে দাঁড়াতো। তারাই বুকে হাত বাঁধতো এবং বগল থেকে যাতে মূর্তি পড়ে না যায় সেজন্য নিয়ত শেষে তকবিরের সময় কান না ছুঁয়ে ঝাঁকি দিয়ে হালকা হাত উপরে উঠিয়ে নামিয়ে ফেলতো(এখনো অনেককে এরকম করতে দেখি)। 


 এ থেকে অনুমান করা যায়, নাভির নিচে হাত বাঁধার নিয়মই যুক্তিযুক্ত এবং এই নিয়মই বেশিরভাগ মুসল্লি অনুসরণ করে থাকে। গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ লুঙ্গি পরে মসজিদে যায়। অতএব, এ নিয়ম এখনো অপরিহার্য। ৪৫ বছর আগে একজন মওলানার কাছ থেকে শোনা কথা। সত্য মিথ্যার দায় তার। কোনো দলিল দিতে পারবো না।

Post a Comment

أحدث أقدم