প্রতীকী ছবি |
মুদ্রাস্ফীতি কমার ইতিবাচক দিক
সাম্প্রতিক উপাত্ত অনুযায়ী:
- ভোক্তা
মূল্যসূচক (CPI) বার্ষিক ভিত্তিতে বেড়েছে মাত্র ২.৩%।
- মূল CPI (খাদ্য
ও জ্বালানি ব্যতীত) বেড়েছে ২.৮%।
এই হারগুলো ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন, যা বোঝায় যে দ্রব্যমূল্য কিছুটা
নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে করে ফেডারেল রিজার্ভ ভবিষ্যতে সুদের হার কমাতে পারে—যা
সাধারণত শেয়ারবাজারের জন্য ভালো খবর।
তবু কেন ভোক্তারা চিন্তিত?
মুদ্রাস্ফীতি কমার পরও আমজনতার আস্থা বাড়ছে না। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের
ভোক্তা আস্থা সূচক (University of Michigan index) কমে ৫০.৮-এ দাঁড়িয়েছে, যা গত
কয়েক দশকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। মানুষ এখনো মনে করছে আগামী ১২ মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার
আবার বাড়তে পারে।
প্রযুক্তি খাতের সামনে চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তি খাত যদিও সুদের হার কমার মাধ্যমে সুবিধা পেতে পারে, তবে কয়েকটি বড়
সমস্যায় পড়ে আছে:
- নতুন শুল্ক নীতি:আমদানিকৃত প্রযুক্তিপণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপলের কিছু পণ্যের দাম $৩৫০ পর্যন্ত বেড়েছে।
- আয় প্রতিবেদন ও শেয়ার পতন:অ্যাপ্লায়েড ম্যাটেরিয়ালস আয় প্রত্যাশা পূরণ করলেও ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা জানিয়েছে, যার ফলে শেয়ারমূল্য ৬% কমে গেছে।
- বিশ্ববাজারের চাপে সেমিকন্ডাক্টর খাত:বিশ্বজুড়ে চিপের সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে এনভিডিয়া, ইনটেল, AMD-এর মতো কোম্পানির ওপর।
বিনিয়োগকারীদের অবস্থান
অনেক বিনিয়োগকারী এখন দ্বিধায় রয়েছেন—একদিকে মুদ্রাস্ফীতি কমার আশায় তারা
বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছেন, অন্যদিকে প্রযুক্তি খাতে ভবিষ্যৎ আয় অনিশ্চিত হওয়ায় তারা
ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
*মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়া নিঃসন্দেহে মার্কিন অর্থনীতির জন্য একটি
ইতিবাচক বার্তা। তবে প্রযুক্তি খাত যেহেতু নীতিনির্ধারণ, চাহিদা এবং বৈশ্বিক
বাণিজ্য-সম্পর্কিত বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তাই এই খাতের বড় বড়
কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। এ কারণেই মুদ্রাস্ফীতির স্বস্তির মাঝেও
প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো চিন্তিত।
আপনার মতামত কী? প্রযুক্তি খাত কি ঘুরে দাঁড়াবে, না সামনে আরও ঝড় অপেক্ষা করছে? কমেন্টে জানান।
---------------
সূত্রঃ IBD, AP ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম
إرسال تعليق